Saturday, 29 May 2021

সক্রিয় অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তনের গুরুত্ব আলোচনা করো। Nature/Characteristics of Operent Conditioning. Educational Implications of Operent Conditioning.

 Nature / Characteristics of Operent Conditioning 

সক্রিয় অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য 

আগের প্রশ্নে আমরা সক্রিয় অনুবর্তন কাকে বলে ও সক্রিয় অনুবর্তনের পরীক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করেছি, আজ আমরা আলোচনা করবো , সক্রিয় অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তনের ভূমিকা বা গুরুত্ব বা অবদান আলোচনা করবো ।সক্রিয় অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য  - 

1. নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ : এই প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সংঘঠিত হয়, যা সক্রিয় অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য।

2. প্রাণীর আচরন গঠন : সক্রিয় অনুবর্তনের সাহায্যে শিক্ষার্থীদের আচরন গঠন করা হয় যা সক্রিয় অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য ।

3. শক্তিদায়ী উদ্দীপক : এই প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল শক্তিদায়ী উদ্দীপকের ব্যবহার। শক্তিদায়ী উদ্দীপকের ব্যবহার না করলে এই অনুবর্তন প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যাবে।

4. প্রাণী স্বতস্ফূর্তভাবে কাজ করে : সক্রিয় অনুবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এই অনুবর্তনে শিক্ষার্থী স্বতস্ফূর্তভাবে কাজ করতে পারে  যা শিখনে বিশেষ ভাবে কার্যকরী

 5. শৃঙ্খলা : সক্রিয় অনুবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল শৃঙ্খলা । এখানে কতগুলি উদ্দীপক একত্রিত হয়ে একটি শৃঙ্খলা তৈরি করে এবং জটিল আচরন সম্পাদন করতে প্রাণী কে সাহায্য করে।

Educational Implications of Operent Conditioning 

শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তনের ভূমিকা/গুরুত্ব/অবদান 

বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তনের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়, যেমন - 

1. শিক্ষার্থীর সক্রিয়তা : শিশুর শিখনকে কার্যকরী করে তুলতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের সক্রিয় করে তুলতে সক্রিয় অনুবর্তনের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

2. পুনসংযোজন : শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় করে তুলতে পুনসংযোজন নীতির ব্যবহার করা হয়, যার ফলে শিক্ষার্থীর নতুন নতুন আচরন করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে পুরস্কৃত করে আগ্রহ সৃষ্টি করলে শিখন স্থায়ী হয়। 

3. পূর্ব প্রস্তুতি : শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তনের ফলে শিক্ষার্থী পূর্ব প্রস্তুতির সাহায্যে নতুন নতুন আচরন করতে পারে।

4. আকার গঠন : সক্রিয় অনুবর্তনের ফলে শিক্ষার্থী ক্রমশ সহজ থেকে জটিল অনুসারে সাজাতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের শিখনের আকার গঠন করতে পারে, যা শিশুর শিখনে  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন প্রতিক্রিয়ার ব্যবহার লেখো।Nature/Characteristics of Classical Conditioning . Educational implications of Classical Conditioning.

 Nature/Characteristics of Classical Conditioning 

প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য 

শারীরতত্ত্ববিদ আইভান প্যাভলভ (Ivan Pavlov) প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্বের প্রবক্তা । ( আগের প্রশ্নে আমরা  প্রাচীন অনুবর্তন কাকে বলে ? এই তত্ত্বের পরীক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করেছি ) তাই এখন আলোচনা করা হবে প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে - 

1. অনুবর্তিত উদ্দীপকের উপস্থাপন : যে উদ্দীপকটিকে অনুবর্তিত করতে হবে ,সেই উদ্দীপকটিকে স্বাভাবিক উদ্দীপকের আগে উপস্থিত করতে হবে। এই কারণে প্যাভলভের পরীক্ষায় ক্ষুধার্ত কুকুরকে খাবার দেওয়ার আগে ঘন্টার্ধ্বনী শোনানো হয়েছিল । 

2. স্বাভাবিক উদ্দীপকের কার্যকারিতা : স্বাভাবিক উদ্দীপকের শক্তি অনুবর্তিত উদ্দীপকের বেশি হয়, যা প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য।

 যেমন : কুকুরের লালাক্ষরণের ক্ষেত্রে খাদ্যবস্তু ঘণ্টাধ্বনির থেকে বেশি শক্তশালী উদ্দীপক ।

3. উদ্দীপক দুটির পর্যায়ক্রমিক উপস্থাপন : বিকল্প বা নিরপেক্ষ উদ্দীপকের রেশ থাকতে থাকতেই স্বাভাবিক উদ্দীপককে উপস্থাপন করতে হবে । সেজন্য প্যাভলভের পরীক্ষায় ঘণ্টাধ্বনির রেশ থাকতে থাকতেই খাবার দেওয়া হত । 

4. উদ্দীপক দুটির পুনরাবৃত্তি : যতক্ষণ না অনুবর্তন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হচ্ছে , ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাভাবিক উদ্দীপক এবং বিকল্প উদ্দীপক দুটিকে পর্যায়ক্রমে বারবার উপস্থাপন করতে হবে, যা প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য । 

5. অপানুবর্তন : অনুবর্তন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার পর দীর্ঘ সময়ব্যাপি যদি খাদ্যবস্তু দেওয়া না হয়, তবে ক্রমশ লালাক্ষরনের পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকবে এবং একসময় তা বন্ধ হয়ে যাবে, একেই অপানুবর্তন বলে যা প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য। 

6. অনুবর্তনের স্বতস্ফূর্ত প্রত্যাবর্তন : অপানুবর্তনের পরে পুনরায় অনুবর্তন প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে আগের মতে পর্যায়ক্রমিকভাবে বিকল্প উদ্দীপকের রেশ থাকতে থাকতেই স্বাভাবিক উদ্দীপকের উপস্থাপন করতে হবে, এবং এর ফলে অনুবর্তনের স্বতস্ফূর্ত প্রত্যাবর্তন ঘটে । যা প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য। 

7. উদ্দীপক নির্দিষ্টকরণ : প্রাচীন অনুবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল যে উদ্দীপকটি অনুবর্তিত হবে তা নির্দিষ্ট করা । স্বাভাবিক উদ্দীপকের সঙ্গে যদি একাধিক গৌণ উদ্দীপক থাকে, তবে যে উদ্দীপকটি অনুবর্তিত হবে তা প্রাণী নির্দিষ্ট করে নেয়।

8. আচরন পৃথকীকরণ ও সামান্যীকরণ : অনুবর্তনের সাহায্যে শিক্ষার্থীরা আচরন পৃথকীকরণ ও সামান্যীকরণ করতে পারে যা প্রাচীন অনুবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য । 

Educational Implications of Classical Conditioning 

শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন প্রতিক্রিয়ার ব্যবহার 

শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন প্রক্রিয়া শিশুর শিখন কৌশলে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। শিশুর শিখনে প্রাচীন অনুবর্তন প্রতিক্রিয়ার ব্যবহার সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল - 

1. শিশুর ভাষাশিক্ষা : শিশু শিক্ষার্থীদের ভাষার বিকাশ ও সঠিক উচ্চারণ করার ক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন প্রতিক্রিয়ার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো শব্দ বারবার উচ্চারণ করিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের ভাষার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। 

2 . শিশুর শিখন : শিশুর শিখনে বিশেষ করে বর্ন , শব্দ , নামতা ইত্যাদি শিখনে প্রাচীন অনুবর্তন প্রতিক্রিয়ার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। 

3. অভ্যাস গঠন : শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সু - অভ্যাস গঠনের ক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন প্রতিক্রিয়ার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। 

4. কু - অভ্যাস দূরীকরণ : শিক্ষার্থীদের কু - অভ্যাস দূরীকরনের ক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন প্রতিক্রিয়ার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 যেমন : বানান ভুল, অশ্লীল উচ্চারণ , মুদ্রাদোষ ইত্যাদি দূর করার ক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন প্রতিক্রিয়ার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। 

5. প্রাক্ষভিক বিকাশ : অনুবর্তনের ফলই হল মানুষের জীবনের জটিল প্রক্ষোভ বা ভাবাবেগ। তাই শিশুর প্রাক্ষভিক বিকাশে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

6. শিক্ষকের আচরন ও অনুবর্তন : প্রাচীন অনুবর্তন প্রক্রিয়া শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/ শিক্ষিকা উভয়েরই আচরণের পরিবর্তন ঘটে এবং শিশুর শিখন গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

          সুতরাং , উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিশুর কু - অভ্যাস দূর করে সু - অভ্যাস গঠনের ক্ষেত্রে ঠিক তেমনই  শিশুর বানান , নামতা শিখনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


স্কিনারের সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তন কাকে বলে ? স্কিনারের সক্রিয় অনুবর্তনের পরীক্ষাটি আলোচনা করো। What is Operent Conditioning?

 Operent Conditioning : Skinner 

স্কিনারের সক্রিয় অনুবর্তন বা অপারেন্ট অনুবর্তন 


মনোবিজ্ঞনী স্কিনারের মতে, আচরন দুই প্রকার - রেসপন্ডেন্ট এবং অপারেন্ট জাতীয় । যেসব আচরণের নির্দিষ্ট উদ্দীপক আছে , যেমন : লালা নিঃসরণের জন্য খাদ্য ,চোখের সংকোচনের জন্য উজ্জ্বল আলো ইত্যাদি রেসপন্ডেন্ট জাতীয় আচরণের অন্তর্ভুক্ত । 

        আর যেসব আচরণের নির্দিষ্ট কোনো উদ্দীপক নেই , যে কোনো উদ্দীপকের সঙ্গে ওই আচরন ঘটাতে পারে তাকে অপারেন্ট জাতীয় আচরন বা অপারেন্ট অনুবর্তন (Operent Conditioning) বলে । 

স্কিনারের সক্রিয় অনুবর্তনের পরীক্ষা 

 1935 সালে মনোবিজ্ঞানী স্কিনার "Science of Human   Behaviour" নামে একটি পুস্তক প্রকাশ করেন, সেই পুস্তকে সক্রিয় অনুবর্তনের পরীক্ষা উল্লেখ করেন , সেটি হল - 


 সক্রিয় অনুবর্তনের পরীক্ষা চিত্র   : স্কিনার বক্স


অপারেন্ট বা সক্রিয় অনুবর্তনের জন্য পরীক্ষা করতে স্কিনার নিজস্ব যন্ত্র বা পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তিনি বিশেষ একটি বাক্স ব্যবহার করেছিলেন যা "স্কিনার বক্স"(Skinner's Box) নামে পরিচিত । এই বাক্সে একটি ট্রে আছে,যার মধ্যে ইলেকট্রিক বোতামের সাহায্যে খাদ্য সরবরাহ করার ব্যবস্থা থাকে। 

         সাবজেক্ট অর্থাৎ যার ওপর পরীক্ষা করা হবে তার জন্য একটি ক্ষুধার্ত ইদুরকে নেওয়া হয়।মূল পরীক্ষার জন্য ইদূরটিকে প্রস্তুত করার উদ্দেশে ট্রে তে খাবার রাখা হয়।মনে রাখতে হবে , এখানে বোতাম টিপে ট্রে - তে খাবার অন হয় নি । পরে ইদুরটিকে বাক্সে রাখা অবস্থায় বোতাম টিপে খাদ্য আনা হয়। 

             প্রথম বারে ট্রে তে খাদ্য আনার উদ্দেশ্য ছিল ইদুরটিকে ট্রে তে খাদ্য সরবরাহের সঙ্গে পরিচিত করা এবং দ্বিতীয় বারের উদ্দেশ্য ছিল স্কিনারের পরীক্ষা সম্পর্কে পরিচিত করানো । 

             এরপরে ইদূরটিকে পুনরায় বাক্সে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ইদুরটি ট্রের দিকে ছুটে যায় খাদ্য পাওয়ার আশায় । কিন্তু না পাওয়ায় নানা রকম সঞ্চলনমূলক আচরন করতে থাকে।হঠাৎ ইদুরটি বাক্সের মধ্যে অবস্থিত বোতামটির ওপর চাপ দিয়ে ফেলে এবং খাদ্যবস্তু ট্রে তে চলে আসে। এই পরীক্ষা বেশ কয়েকবার করার পর দেখা যায়, ইদুরটিকে বাক্সে রাখা মাত্র যথাস্থানে গিয়ে বোতাম টিপে খাদ্য নিয়ে আসে । 

             এখানে বলা যায় যে, খাদ্যপ্রাপ্তি ইদুরকে প্রতিক্রিয়ার অর্থাৎ যথাস্থানে গিয়ে বোতাম চাপ দেওয়ার শক্তি বা রি - এনফর্স জোগায়, যা ইদুরটি শিখেছে। যেহেতু আচরণটি অর্থাৎ যথাস্থানে গিয়ে বোতাম চাপ দেওয়া যান্ত্রিকাবে বা ইন্সট্রুমেন্টাল পুরস্কার খাদ্যের সঙ্গে যুক্ত , তাই একে যান্ত্রিক শিখনও বলা হয়। এখানে আচরন ও শক্তিদাতা উদ্দীপক গুরুত্ত্বপূর্ণ ।

              যদি খাদ্য বা শক্তিদায়ী উদ্দীপক বারবার দেওয়া না হয়, তাহলে আচরণটি বন্ধ হয়ে যাবে। শক্তিদায়ী উদ্দীপক এখানে ফিডব্যাকের কাজ করে , যা শিখনে বিশেষ গুরুত্ত্বপূর্ণ । 


সক্রিয় অনুবর্তনের সাংগঠনিক কাঠামো : 


 

 সক্রিয় অনুবর্তনের সাংগঠনিক কাঠামো  চিত্র 


   

Thursday, 27 May 2021

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান(Education) দ্বিতীয় অধ্যায় - শিখন কৌশল (Mechanisms of Learning)

 উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান(Education) 

 দ্বিতীয় অধ্যায় 

 শিখন কৌশল 

 Mechanisms of Learning 

8 Marks 



1. অনুবর্তন ( Conditioning ) কাকে বলে ? কয় প্রকার ও কি কি ? 

2. প্রাচীন অনুবর্তন ( Classical Conditioing ) কাকে বলে ? প্রাচীন অনুবর্তনের পরীক্ষা  আলোচনা করো।

3. প্রাচীন অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য লেখো। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তনের ব্যবহার বা গুরুত্ব আলোচনা করো। 

4. সক্রিয় অনুবর্তন ( Operant Conditioning ) কাকে বলে ? সক্রিয় অনুবর্তনের পরীক্ষা লেখো। 

5. সক্রিয় অনুবর্তনের বৈশিষ্ট্য লেখো। শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অনুবর্তনের ব্যবহার বা গুরুত্ব আলোচনা করো। 

6. প্রাচীন অনুবর্তন ও সক্রিয় অনুবর্তনের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করো । 

7. প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশল কাকে বলে ? প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন কৌশলের পরীক্ষা , বৈশিষ্ট্য ও শিক্ষাগত গুরুত্ব আলোচনা করো । 

8. থর্নডাইকের মতে , শিখনের সূত্রগুলি কয়প্রকর ও কি কি ? আলোচনা করো ।

9. অন্তর্দৃষ্ঠিমুলক শিখন কৌশল কাকে বলে ? এর পরীক্ষা , বৈশিষ্ট্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে এর প্রয়োগ আলোচনা করো। 


অনুবর্তন কাকে বলে ? কয়প্রকার ও কি কি ? what is Conditioning. Types of Conditioning.

 Conditioning 

 অনুবর্তন 

প্রতিটি প্রাণীই বিশেষ কিছু উদ্দীপকের সাথে সংযোগস্থাপন  করে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া করে। যেমন : ক্ষুধার্ত প্রাণীর লালাক্ষরণ , টর্চের আলো চোখে পড়লে চোখ বন্ধ করে ফেলা ইত্যাদি । এখানে স্বাভাবিক উদ্দীপক দ্বারা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ঘটছে বা ঘটে। 

            কিন্তু , যখন কোনো স্বাভাবিক উদ্দীপক দ্বারা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ঘটার পরিবর্তে , অন্য কোনো নিরপেক্ষ উদ্দীপক বা বস্তুর দ্বারা স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ঘটছে অর্থাৎ , নিরপেক্ষ উদ্দীপক উপস্থাপন করা মাত্রই স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ঘটছে, একেই অনুবর্তন বা  Conditioning বলে । 

   Definition of Conditioning 

   অনুবর্তনের সংজ্ঞা 

মনোবিদ ড্রেভার(Drever) এর মতে, "স্বাভাবিক উদ্দীপক ছাড়া অন্য কোনো উদ্দীপক , বস্তু বা পরিস্হিতি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ঘটানোর অবস্থাকেই অনুবর্তন (Conditioning) বলে । 

 Types of Conditioning 

অনুবর্তনের প্রকারভেদ / শ্রেণীবিভাগ 


অনুবর্তনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় । যথা : 

A. প্রাচীন অনুবর্তন বা আপাত অনুবর্তন বা Classical Conditioing বা "S - Type " অনুবর্তন বলে ।

B. সক্রিয় অনুবর্তন বা Operent Conditioning বা "R - Type" অনুবর্তন বলে । 


            

মুদালিয়ার কমিশন (1952-53) Mudaliar Commission (1952-53)

 মুদালিয়ার কমিশন (1952-53) Mudaliar Commission Secondary Education Commission (1952-1953) মুদালিয়ার কমিশন (1952-53), মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন...