Monday, 7 June 2021

গড় (MEAN) কাকে বলে ? গড়ের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করো (ADVANTAGES AND DISADVANTAGES OF MEAN)।

 WHAT IS MEAN ?
গড় কি ? 

একই জাতীয় কয়েকটি অসম বস্তুুর পরিমাপের সমতা যে সাংখ্যমানের দ্বারা পরিবেশন করা হয়, তাই হলো গাণিতিক গড় (MEAN).

  • গড়ের শ্রেণীবিভাগ :

গড় বা মিন প্রধানত তিন প্রকার । যথা -

A. গাণিতিক গড় বা ARITHMETIC MEAN বা A.M

B. গুণোত্তর গড় বা GEOMETRIC MEAN বা G.M

C. বিবর্ত যৌগিক গড় বা HARMONIC MEAN বা H.M .

  • গড়ের সুবিধা :
গড়ের সুবিধা গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল -

1. খুব সহজেই গাণিতিক গড় নির্ণয় করা যায়। অর্থাৎ সমজাতীয় স্কুল গুলিকে যোগ করে তার যোগফল কে মোট স্কোর সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলেই গাণিতিক গড়ের মান পাওয়া যায়।

2. গাণিতিক গড় বের করার সময় প্রতিটা স্কোরকে ব্যবহার করার ফলে এটি সবদিক থেকেই অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য হয়।

3. গাণিতিক গড়ের সাহায্যে স্কোর গুলির মধ্যে তুলনা করা যায়।

4. গাণিতিক গড় বের করার সময় পর্যবেক্ষণ গুলিকে তাদের ক্রম অনুযায়ী সাজানোর প্রয়োজন হয় না।

5. বিভিন্ন বণ্টনের মধ্যে তুলনার জন্য গড়ের প্রয়োজন হয়। যেমন - বিচ্যুতি, সহ- সম্পর্ক ইত্যাদির নির্ণয়ের জন্য গড়ের ব্যবহার করা হয়।

  • গড়ের অসুবিধা :

গড় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত অসুবিধাগুলির সম্মুখীন হতে হয় -

1. কেবল তথ্যের পর্যবেক্ষণের দ্বারা এর মান নির্ণয় করা যায় না।

2. একগুচ্ছ তথ্যের মধ্যে একটি মাত্র তথ্য অনুপস্থিত থাকলে গাণিতিক গড় নির্ণয় করা যায় না।

3. গাণিতিক গড় দু একটি উচ্চ বা নিম্ন স্কোরের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে।

4. গাণিতিক গড় অনেক সময়সাপেক্ষ । তাই এটি অসুবিধাজনক।

1 comment:

  1. খুবই প্রয়োজনীয় তথ্য।

    ReplyDelete

মুদালিয়ার কমিশন (1952-53) Mudaliar Commission (1952-53)

 মুদালিয়ার কমিশন (1952-53) Mudaliar Commission Secondary Education Commission (1952-1953) মুদালিয়ার কমিশন (1952-53), মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন...