Thursday, 20 May 2021

What is Motivation? Definition of Motivation.Types of Motivation. Characteristics of Motivation. প্রেষনা কি?প্রেষনার বৈশিষ্ট্য,প্রেষনার শ্রেণীবিভাগ লেখো।

 প্রেষনা কি ? 
What is Motivation 


ব্যাক্তির চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই। একটি চাহিদাপুরণের সাথে সাথেই ওপর একটি নতুন চাহিদার সৃষ্টি হয় এবং মানুষ তা পূরণ করতে বিভিন্ন আচরন করতে থাকে।মানুষের প্রত্যেকটি আচরণের পিছনেই থাকে কোনো না কোনো অভাববোধ বা চাহিদা আর এই অভাববোধ দূর করার আকাঙ্ক্ষা। অর্থাৎ , অভাববোধ বা চাহিদাপূরণের জন্য ব্যাক্তি যে আচরন করে এবং উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলে , তাইই হল প্রেষনা বা Motivation.


          "প্রেষনা" শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হল "Motivation". এই শব্দটি ল্যাটিন শব্দ "Moveers" থেকে এসেছে।"Moveers" শব্দটির অর্থ হল "To Move" বা "এগিয়ে যাওয়া"। অর্থাৎ "প্রেষনা" শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল, অভাববোধ বা চাহিদাপূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া।


Definition of Motivation

প্রেষনার সংজ্ঞা 


মনোবিদ সুইফট (Swift) - এর মতে, যে পরিবর্তনশীল মানসিক প্রক্রিয়া ব্যাক্তির নানা প্রকার চাহিদা পূরনের জন্য,তার আচরন ধারাকে নিয়ন্ত্রণ করে,তাই ই হল প্রেষনা বা Motivation.

"Motivation is a dynamic process initiating and directing behaviour continuous but fluctuating in intensities and aim at satisfaction of the individual's needs."


মনোবিদ ক্রাইডার (Cryder) বলেন, "যে প্রক্রিয়া ব্যাক্তির আগ্রহ, আকাঙ্ক্ষা এবং প্রয়োজনকে সক্রিয় বা কর্মদ্যোগী করে তোলে এবং একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের দিকে পরিচালিত করে, তাকে প্রেষনা বা Motivation বলে ।''

Motivation Cycle
প্রেষনা চক্র 

প্রেষনা যে চারটি স্তরের মধ্যে দিয়ে চক্রাকারে আবর্তিত হয় এবং অর্থবোধক আচরন করে অর্থাৎ লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যায়, তাকেই প্রেষনাচক্র(Motivation Cycle) বলে। এই চারটি স্তর হল - 

1. অভাববোধ বা চাহিদা (Need)

2. তাড়না (Drive)

3. সহায়ক বা যান্ত্রিক আচরন (Instrumental Behaviour)

4. লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য (Goal) ।


Types/Classification of Motivation 

প্রেষনার শ্রেণীবিভাগ 

প্রেষনাকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-


1. জৈবিক প্রেষনা Physiological Motivation) : ব্যাক্তির জীবনধারনের জন্য অর্থাৎ শারীরবৃত্তীয় বা জৈবিক চাহিদা পূরনের জন্য যে প্রেষনার সৃষ্টি হয়,তাই হল জৈবিক প্রেষনা

যেমন : ক্ষুধা,তৃষ্ণা, মাতৃত্ব ইত্যাদি।


2. ব্যাক্তিগত প্রেষনা(Personal Motivation) : যে চাহিদা ব্যাক্তির মানসিক বা           আত্মসচেতনতার সঙ্গে যুক্ত ,সেই প্রেষনাগুলিকে ব্যাক্তিগত প্রেষনা বলে।

যেমন : আত্মশ্রদ্ধার চাহিদা, মূল্যবোধ,মনোভাব ইত্যাদি ।


3. সামাজিক প্রেষনা(Social Motivation) : সমাজে বসবাস করতে গেলে ব্যাক্তির সামাজিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে যে চাহিদার সৃষ্টি হয় তাই হল সামাজিক চাহিদা

 যেমন : নিরাপত্তা,ভালোবাসা,খ্যাতির চাহিদা ইত্যাদি।


Nature/ Characteristics of Motivation 
প্রেষনার বৈশিষ্ট্য 


প্রেষনার বৈশিষ্ট্য হল - 

1. অভ্যন্তরীণ ও ব্যাক্তিগত : প্রেষনা অভ্যন্তরীণ ও ব্যাক্তিগত কারন ইহা আমাদের অভাববোধ বা চাহিদা থেকে সৃষ্টি হয় এবং তা পূরণ করাই প্রেষনার বৈশিষ্ট্য ।

2. ব্যাক্তিগত পার্থক্য : প্রেষনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল ব্যাক্তিগত পার্থক্য।কারণ  ব্যাক্তি অনুযায়ী প্রেষণার পার্থক্য দেখা যায়।অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন প্রেষণার সৃষ্টি হয়।

3. সময় অনুযায়ী পরিবর্তন : ব্যাক্তির প্রেষণা সবসময় একই রকম থাকে না। সময়মত প্রেষণার পরিবর্তন হয়।এক ধরনের চাহিদা পূরন হলে সেই চাহিদার তীব্রতা কমে যায় এবং পরবর্তী চাহিদার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।

4. আচরণের পরিবর্তন: প্রেষণার ফলে ব্যাক্তির আচরণের পরিবর্তন ঘটে।তাড়না শিক্ষার্থীদের ভিন্ন ভিন্ন আচরণের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীর লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে যা প্রেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।

5. পরিবর্তনশীলতা : প্রেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল পরিবর্তনশীলতা। চাহিদার সাথে সাথেই ব্যাক্তির তাড়নার পরিবর্তন হয়।

6. ব্যাক্তিজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা : প্রেষণা ব্যাক্তির চাহিদা পূরনের মধ্যে দিয়ে ব্যাক্তিজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা প্রেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ।

7. মিথষ্ক্রিয়া : প্রেষণা ব্যাক্তিকে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে অর্থাৎ পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীর পরিবেশের সাথে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করাই প্রেষণার বৈশিষ্ট্য ।

8. উদ্দেশ্যমূখি আচরন : প্রেষণা ব্যাক্তিকে তার উদ্দেশমুখী আচরন করতে শেখায়, যার মধ্যে দিয়ে ব্যাক্তি তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে, যা প্রেষণার বৈশিষ্ট্য।


9. কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি : ব্যাক্তির চাহিদার প্রকৃতি অনুযায়ী ব্যাক্তির কর্মতৎপরতা কখনও কমে আবার কখনও বৃদ্ধি পায়।তাই প্রেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল ব্যাক্তির কর্মতৎরতা বৃদ্ধি করা অর্থাৎ কাজ করতে উৎসাহ প্রদান করা।


                 সুতরাং , প্রেষণা বা Motivation শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং জীবনের ভারসাম্য বজায় রেখে আদর্শ ব্যাক্তিত্ব গঠনে সাহায্য করে।



শিখনে প্রেষণার ভূমিকা 
Role of Motivation in Learning 

প্রেষণা ব্যাক্তিকে নতুন কিছু করতে যেমন উদ্ধুদ্ধ করে তেমনি লক্ষ্যে পৌঁছানোর শক্তিরূপে কাজ করে। শিখনে প্রেষণার ভূমিকা নিম্নে আলোচনা করা হল - 


1. প্রেষণা ব্যাক্তির মধ্যে কাজ করার আগ্রহ বা শক্তি জোগায় ।

2. প্রেষণা শিক্ষার্থীর লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং তার আচরন নির্দিষ্ট করে।

3. প্রেষণার ফলে  শিক্ষার্থী কাজে উদ্যোগী হয় এবং কাজটি যথাযথভাবে সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করে।

4. প্রেষণা ব্যাক্তির শিখন কৌশলকে প্রভাবিত করে এবং নতুন কিছু শেখার প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে।

5. প্রেষণা শিক্ষার্থীর মনোযোগ দিতে সাহায্য করে।

6. প্রেষণা শিক্ষার্থীর আচরণের গতিপথ নির্ণয় করে এবং অপ্রয়োজীয় আচরণগুলি ত্যাগ করে সঠিক বা প্রয়োজনীয় আচরন বেছে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে।



4 comments:

মুদালিয়ার কমিশন (1952-53) Mudaliar Commission (1952-53)

 মুদালিয়ার কমিশন (1952-53) Mudaliar Commission Secondary Education Commission (1952-1953) মুদালিয়ার কমিশন (1952-53), মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন...