Thursday, 8 July 2021

ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য (Fundamental Duties of Indian Citizens)

 ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য 

 (Fundamental Duties of Indian Citizens) 


2002 সালে ভারতীয় সংবিধানের 86 তম সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের পালনীয় মৌলিক কর্তব্য সংখ্যা 10 থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 11 দাঁড়িয়েছে । এই মৌলিক কর্তব্যগুলি হল - 

1. সংবিধান মান্য করে চলা , তার সব আদর্শ ও অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান প্রতি , জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা ; 

2. যেসব মহান আদর্শ এর মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রাম উদ্বুদ্ধ হয়েছিল , সেগুলির পোষণ এবং অনুসরণ করা ; 

3. ভারতের সার্বভৌমত্ব , ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা। 

4. প্রয়োজন হলে দেশকে রক্ষা করা ও জাতীয় পরিষেবা দেওয়া ; 

5. ধর্ম ও ভাষাগত বিভেদ ভুলে সকলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা , ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করা এবং নারীর মর্যাদা হানিকর আচরণ বর্জন করা ; 

6. ভারতীয় মিশ্র সংস্কৃতিকে যথাযথ মূল্য দেওয়া এবং তাকে রক্ষা করা ;

7. ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা , তার উন্নতি সাধন করা এবং সমস্ত প্রাণীর প্রতি সদয় থাকা ; 

8. বিজ্ঞানসম্মত মানসিকতা , মানবিকতাবোধ এবং অনুসন্ধিতসা বজায় রাখা ; 

9. অপরের প্রতি হিংসা পরিহার করা এবং বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তিকে রক্ষা করা ; 

10. জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছতে সহায়তা করা ; 

11. 6 বছর থেকে 14 বছর বয়সের প্রতিটি ছেলেমেয়েকে শিক্ষা লাভের সুযোগ দেওয়া ।




ভারতীয় সংবিধানের শিক্ষা সংক্রান্ত ধারা (Articles in Indian Constitution on Education)

 আইন প্রণয়নের ক্ষমতা বন্টন এর জন্য তালিকা ব্যবস্থা 

(List system for the distribution of legislative power) 


ভারতবর্ষের সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধান। স্বাভাবিকভাবেই এখানে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা গুলি কে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা - 

A. কেন্দ্রীয় তালিকা (Union List) - যে সমস্ত বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের তাকে "লিস্ট I" বা "কেন্দ্রীয় তালিকা"(Union List) বলে। 

B. রাজ্য তালিকা (State List) - যে সমস্ত বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রাজ্য সরকারের তাকে "রাজ্য তালিকা"(State List) বা "লিস্ট II" বলে । 

C. যৌথ তালিকা (Concurrent List) - যেসব ক্ষেত্রে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়েরই তাকে "লিস্ট III" বা "যৌথ তালিকা"(Concurrent List) বলে। 


ভারতীয় সংবিধানের শিক্ষা সংক্রান্ত ধারা 

 (Articles in Indian Constitution on Education) 

 ভারতীয় সংবিধানের ভূমিকায় একটা প্রস্তাবনা রয়েছে ,  আমরা আগের প্রশ্নেই আলোচনা করেছি। 1951 সালের 26 শে জানুয়ারি যে সংবিধান চালু করা হয় সেখানে ঘোষণা করা হয় ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। 1976 সালে 42 তম সংশোধনীর সময় আরও দুটি নতুন শব্দ যুক্ত হয়। সেই শব্দ দুটি হল "সমাজতান্ত্রিক" এবং "ধর্মনিরপেক্ষ"। 


   শিক্ষায় সমতা বিধানের ক্ষেত্রে সংবিধানে শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারা রচনা করা হয়েছে , তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ধারা হল - 

• 14 নং ধারা : ভারত রাষ্ট্রের সীমানার মধ্যে আইনের চোখে সকলেই সমান বা সকলেই সমভাবে আইনি অধিকার লাভ করবে অর্থাৎ আইনের দৃষ্টিতে সমতা।

• 15 নং ধারা : জাতি-ধর্ম-বর্ণ , জন্মস্থান প্রভৃতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র কোন প্রকার বৈষম্যমূলক আচরণ করবে না। 

• 15 (1)নং ধারা : ভারতীয় সমাজে শিক্ষার ক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকার থাকবে অর্থাৎ নারী শিক্ষার অধিকার। 

• 15 (3) নং ধারা : রাষ্ট্র নারী এবং শিশুদের জন্য যে কোন বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। 

• 16 নং ধারা : কোনো নাগরিককে রাষ্ট্র সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ধর্ম , জাতপাত , লিঙ্গ , বংশ , বাসস্থান , জন্মস্থান ইত্যাদি কারণে অযোগ্য বলে বিবেচিত বিবেচনা করতে বা তার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারবে না অর্থাৎ সরকারি চাকরি সংক্রান্ত সমসুযোগ। 

• 21 (1) নং ধারা : 6 থেকে 14 বছর বয়সী সমস্ত শিশুকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদান করা রাষ্ট্রের কাজ ।

• 28 নং ধারা : বিশেষ ধরনের প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় পূজা এবং ধর্মীয় শিক্ষা দানের স্বাধীনতার কথা এই ধারায় বলা হয়েছে। 

• 29 নং ধারা : সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বাধিকার রক্ষা করা অর্থাৎ ভারতের যেকোনো স্থানে বসবাসকারী নাগরিকদের কোন অংশের যদি পৃথকভাবে নিজস্ব সংস্কৃতি থাকে তাহলে তাদের ও সংস্কৃতির সংরক্ষণের অধিকার থাকবে। 

• 30 নং ধারা : সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনার অধিকার থাকবে। 

• 41 নং ধারা : রাষ্ট্র তার আর্থিক ক্ষমতা ও উন্নয়নের সীমার মধ্যে সব নাগরিকদের জন্য কর্ম ও শিক্ষার ব্যবস্থা করবে এবং সেইসঙ্গে বেকার যুবক , বৃদ্ধ মানুষ ,  অসুস্থ এবং অক্ষম মানুষদের সরকারি সাহায্য দান করা হবে ; অর্থাৎ নাগরিকদের কর্ম , শিক্ষা ও অনুদানের ব্যবস্থা করবে। 

• 45 নং ধারা : সংবিধান চালু হওয়ার দিন থেকে 10 বছরের মধ্যে 14 বছর বয়স পর্যন্ত সব ছেলেমেয়েদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করা হবে ; অর্থাৎ বাধ্যতামূলক এবং অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা। 

• 46 নং ধারা : তপশিলি জাতি উপজাতি এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর জন্য শিক্ষাগত ও আর্থিক প্রগতির ব্যবস্থা করবে রাষ্ট্র এবং তারা যাতে কোনরকম শোষণের শিকার না হয় সেদিকেও নজর দেবে রাষ্ট্র।

• 63 নং ধারা : বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় , আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তদনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলিকে জাতীয় গুরুত্ব প্রদান। 

• 64 নং ধারা : ভারত সরকারের আংশিক এবং সম্পূর্ণ আর্থিক সাহায্যের বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় গুরুত্ব প্রদান করা । 

• 65 নং ধারা : বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পেশাগত , বৃত্তিগত ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দান এবং বিশেষ গবেষণায় উন্নতি , অপরাধ অনুসন্ধানে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহায়তা দানের কেন্দ্রগুলিতে জাতীয় গুরুত্ব প্রদান। 

• 66 নং ধারা : উচ্চ শিক্ষা , গবেষণা , বিজ্ঞান ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলির মানোন্নয়ন ও সংযোগ সাধনের দায়িত্ব কেন্দ্রের। 

• 67 নং ধারা : মনুমেন্ট , প্রাচীন ঐতিহাসিক সৌধ এবং পুরাতত্ত্ব সম্পর্কিত স্থান যা পার্লামেন্টের আইন প্রণয়নের মাধ্যমে জাতীয় গুরুত্ব প্রদান। 

• 337 নং ধারা : ইঙ্গ ভারতীয় বিদ্যালয়ের সাহায্য প্রদান করা।

• 340 নং ধারা : ভারতের রাষ্ট্রপতি সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সমীক্ষার জন্য প্রয়োজন মতো কমিশন নিয়োগ করতে পারেন অর্থাৎ পশ্চাৎপদ শ্রেণীর অবস্থা অনুসন্ধানে কমিশন নিয়োগ করা । 

• 343 নং ধারা : হিন্দি ভাষায় হবে সরকারি ভাষা ।  তবে সংবিধান প্রণয়নের 15 বছর পর্যন্ত সরকারি কাজে ইংরেজি ভাষা ব্যবহৃত হবে অর্থাৎ ভারত সরকারের সরকারি ভাষা দেবনাগরী হরফে হিন্দি ভাষা। 

• 346 নং ধারা : আন্তঃরাজ্য বা কেন্দ্র-রাজ্য যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সরকারি ভাষা টা গ্রহণ করবে ।

• 347 নং ধারা : রাজ্যের যথেষ্ট সংখ্যক মানুষ যদি বিশেষ কোনো ভাষাকে সরকারি কাজে ব্যবহার করতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাই , রাষ্ট্রপতি সেই ভাষাকে রাজ্যের সরকারি ভাষা হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দিতে পারেন। 

• 351 নং ধারা : হিন্দি ভাষার উন্নতি ও প্রসার ভারত সরকারের দায়িত্ব , তাই হিন্দি ভাষার শিক্ষা প্রদান করতে হবে। 

           1976 সালে সংবিধানের 42 তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে শিক্ষাকে যৌথ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে । সংবিধানের মৌলিক কর্তব্য 51 (1) নং ধারা অনুসারে পিতামাতা এবং অভিভাবকদের কর্তব্য হল 6 বছর থেকে 14 বছর বয়সের শিশুকে বিদ্যালয় পাঠানো, না পাঠালে তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। 











ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা (The Preamble to Indian Constitution)

ভারতবর্ষ ও  ভারতীয় সংবিধান
India and Indian Constitution


একটি জাতির লক্ষ্য , আদর্শ , মূল্যবোধ , আশা-আকাঙ্ক্ষা ও জনগণের জন্য নানা কল্যাণমূলক কাজের অঙ্গীকার নিয়ে সেই দেশের সংবিধান রচিত হয়। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ভারতবর্ষের আদর্শ ,  আশা-আকাঙ্ক্ষা , দৃষ্টিভঙ্গি , দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। 

 ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা ও  ভারতবর্ষ 


ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতবর্ষকে একটি সার্বভৌম , সমাজতান্ত্রিক , ধর্মনিরপেক্ষ , গণতান্ত্রিক , প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষণা করা হয়েছে । তবে সংবিধান প্রণয়নের সময় প্রস্তাবনায় "সমাজতান্ত্রিক" ও  "ধর্মনিরপেক্ষ" শব্দ দুটি ছিল না । 1973 খ্রিস্টাব্দে সংবিধানের 42 তম সংশোধন দ্বারা প্রস্তাবনায় "সমাজতান্ত্রিক" ও "ধর্মনিরপেক্ষ" আদর্শ যুক্ত করা হয়েছে । এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার , স্বাধীনতা , সাম্য প্রতিষ্ঠা এবং ভাতৃত্ববোধের প্রসারের কথা বলা হয়েছে । প্রস্তাবনার মধ্যে জনকল্যাণকর রাষ্ট্র ব্যবস্থার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক সমাজবাদ প্রতিষ্ঠা করার ইঙ্গিত ও রয়েছে। 

 ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা 
 (The Preamble to Indian Constitution)


ভারতের স্বাধীনতা আইন পাশ হয় হাজার 1947 সালের 18 জুলাই এবং 1947 খ্রিস্টাব্দের 14 ই আগস্ট তারিখে ভারত ও পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। 
 
 1947 সালের 15 আগস্ট ভারত বর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর 1948 খ্রিস্টাব্দে ডঃ বি আর আম্বেদকর এর নেতৃত্বে গণপরিষদের সংবিধানের খসড়া তৈরি হয় যা গৃহীত হয় 1949 সালের 26 শে নভেম্বর এবং সেই সময় গণপরিষদের সভাপতি ছিলেন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ। তারপর ভারতীয় সংবিধান প্রবর্তিত হয় 1950 সালের 26 শে জানুয়ারি।

           সেই সংবিধানের প্রস্তাবনায় স্বাধীন ভারতের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বাঁচার জন্য বলা হয়েছে : 
     

       "We the people of India having solemnly resolved to constitute of India into a Sovereign - Socialist Secular Democratic Republic and to secure to all its citizens justice : social economic and political ; liberty of thought, expression, belief, faith and worship ; equality of status and opportunity ; and to promote among them all - Fraternity assuring the dignity of the individual and the unity and integrity of the nation ; in our constituent assembly this 26th day of November 1949 , do hereby adopt, in act and give to ourselves this constitution." 


 
 অর্থাৎ , "আমরা ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম , সমাজতান্ত্রিক , ধর্মনিরপেক্ষ , গণতান্ত্রিক , সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে এবং তার সব নাগরিকই  যাতে সামাজিক , অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচারের চিন্তা , মতপ্রকাশ , বিশ্বাস , ধর্ম ও উপাসনার স্বাধীনতা পায় এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তির মর্যাদা এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সুনিশ্চিতকরনের মাধ্যমে যাতে ভাতৃত্বের ভাব গড়ে ওঠে , তার জন্য সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথ গ্রহণ করে , আমাদের গণপরিষদে আজ , 1949 সালের 26 শে নভেম্বর সংবিধান গ্রহণ , বিধিবদ্ধ এবং নিজেদের অর্পণ করছি।" 



Tuesday, 6 July 2021

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান সপ্তম অধ্যায় : ভারতীয় শিক্ষা কমিশন বা কোঠারি কমিশন 1964-66 The Indian Education Commission or Kothari Commission (1964-66)

  উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান 

 সপ্তম অধ্যায় : ভারতীয় শিক্ষা কমিশন বা কোঠারি কমিশন (1964-66) 

The Indian Education Commission or Kothari Commission (1964-66) 


1. কোঠারি কমিশন কবে কেন গঠন করা হয় ? কোঠারি কমিশনের মতে শিক্ষার লক্ষ্য গুলি আলোচনা করো। 

2. কোঠারি কমিশনের মতে বর্তমান শিক্ষার কাঠামো আলোচনা করো।

3. কোঠারি কমিশনের মতে, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কাকে বলে ? প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো ।

4. কোঠারি কমিশনের মতে প্রাথমিক শিক্ষা কাকে বলে ? প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য, প্রাথমিক শিক্ষার কাঠামো, পাঠক্রম সম্পর্কে আলোচনা করো। কোঠারি কমিশনের মতে প্রাথমিক শিক্ষার সমস্যা ও সমাধানের উপায়গুলি আলোচনা করো । 

5. কোঠারি কমিশনের মতে মাধ্যমিক শিক্ষা কাকে বলে ? ? মাধ্যমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য, মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো, পাঠক্রম, মাধ্যমিক শিক্ষার সমস্যা ও সমাধানের উপায় গুলি আলোচনা করো । 

6. বৃত্তিমুখী ও কারিগরি শিক্ষা কাকে বলে ? বৃত্তি ও কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো । বর্তমান সময়ে বৃত্তিমুখী ও কারিগরি শিক্ষার সমস্যা ও সমাধানের উপায় গুলি আলোচনা করো।



Monday, 5 July 2021

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় শিখন কৌশল (Mechanisms of Learning) MCQ Questions

 উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান 
 দ্বিতীয় অধ্যায় : শিখন কৌশল 
 (Mechanisms of Learning) 
 MCQ Questions 


1. প্রাচীন অনুবর্তন(Classical Conditioning) তত্ত্বের প্রবর্তক হলেন- 

A. স্কিনার 

B. প্যাভলভ 

C. থর্নডাইক 

D. কোহলার 

উত্তর : প্যাভলভ ।

2. প্যাভলভ কত সালে নোবেল পুরস্কার পান ? 

A. 1902 

B. 1903 

C. 1904 

D. 1905 

উত্তর : 1904  সালে ।

3. সক্রিয় অনুবর্তন(Operent Conditioning) তত্ত্বের প্রবর্তক হলেন - 

A. স্কিনার 

B. প্যাভলভ 

C. থর্নডাইক 

D. কোহলার 

উত্তর : স্কিনার ।

4. প্রাচীন অনুবর্তন হল - 

A.    S-Type 

B.   R-Type 

C.   P-Type 

D.   N-Type 

উত্তর : S-Type . 

5. মনোবিজ্ঞানী প্যাভলভ প্রাচীন অনুবর্তন পরীক্ষার জন্য কোন প্রাণীর উপর পরীক্ষা করেন ? 

A. সিংহ 

B. কুকুর 

C. বিড়াল 

D. ইঁদুর 

উত্তর : কুকুর ।

6. সক্রিয় অনুবর্তন পরীক্ষার জন্য  মনোবিদ স্কিনার কোন প্রাণীর উপর পরীক্ষা করেন ? 

A. সিংহ 

B. কুকুর 

C. বিড়াল 

D. ইঁদুর 

উত্তর : ইঁদুর ।

7. সক্রিয় অনুবর্তন হল - 

A.    S-Type 

B.   R-Type 

C.   P-Type 

D.   N-Type 

উত্তর : R-Type .   

8."প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখন"(Trail and Error Learning) কৌশল এর প্রবক্তা হলেন - 

A. প্যাভলভ 

 B. থর্নডাইক 

 C. ওয়াটসন 

D. কোহলার 

উত্তর: থর্নডাইক ।

9. প্রাণীর যেসব আচরণে নির্দিষ্ট উদ্দীপক আছে তাকে বলে - 

A. রেসপনডেন্ট 

B. অপারেন্ট 

C. অভ্যাস 

D. অপানুবর্তন

উত্তর : রেসপনডেন্ট ।

10. শিখন কৌশলের পুরস্কার লাভের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন কোন মনোবিদ- 

A. স্কিনার 

B. প্যাভলভ 

C. থর্নডাইক 

D. কোহলার 

উত্তর : স্কিনার ।

11. প্রাচীন অনুবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করে - 

A. সক্রিয় অনুবর্তন 

B. উদ্দীপক 

C. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র 

D.  স্বতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্র 

উত্তর : স্বতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্র 

12. সক্রিয় অনুবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করে - 

A. প্রাচীন অনুবর্তন 

B. উদ্দীপক 

C. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র 

D. স্বতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্র 

উত্তর : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র । 

13. শেপিং(Shaping) কোন শিখন তত্ত্বে ব্যবহৃত হয় ? 

A. প্রাচীন অনুবর্তন 

B. সক্রিয় অনুবর্তন 

C. প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্ব 

D. অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখন তত্ত্ব 

উত্তর : সক্রিয় অনুবর্তন । 

14. "Type - I" শিখন হল - 

A. প্রাচীন অনুবর্তন 

B. সক্রিয় অনুবর্তন

C. প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্ব

D. অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখন তত্ত্ব  

উত্তর : প্রাচীন অনুবর্তন । 

15. "Type - II" শিখন হল - 

A. প্রাচীন অনুবর্তন 

B. সক্রিয় অনুবর্তন

C. প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্ব

D. অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখন তত্ত্ব  

উত্তর : সক্রিয় অনুবর্তন । 

16 . শিখন কৌশল নির্ণয় করতে থর্নডাইক কোন প্রাণীর আচরণের উপর পরীক্ষা করেন ? 

A. সিংহ 

B. কুকুর 

C. বিড়াল 

D. ইঁদুর 

উত্তর : বিড়াল ।

17. থর্নডাইকের শিখন তত্ত্বের পরীক্ষায় ব্যবহৃত বাক্সটির বা যন্ত্রটির নাম কি ? 

A. পাজল বক্স 

B. স্কিনার বক্স 

C. খাঁচা 

D. টিফিন বক্স ।

উত্তর : পাজল বক্স । 

18. থর্নডাইকের শিখন কৌশল সংক্রান্ত প্রধান সূত্রের সংখ্যা কয়টি ? 

A. 2 টি 

B. 3 টি 

C. 4 টি 

D. 5 টি 

উত্তর : 3 টি 

19. "গেস্টাল্ট"(Gestalt) কথাটির বাংলা প্রতিশব্দ হল - 

A. অবয়ব 

B. পুনরাবৃত্তি 

C. সক্রিয়তা 

D. প্রতিক্রিয়া 

উত্তর : অবয়ব । 

20. একজন গেস্টাল্টবাদী হলেন - 

A. স্কিনার 

B. প্যাভলভ 

C. থর্নডাইক 

D. কোহলার 

উত্তর : কোহলার । 

21. গেস্টালবাদী কোহলার অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন কৌশলের জন্য যে শিম্পাঞ্জিকে নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন তার নাম কি ? 

A. টম 

B. সুলতান 

C. বিক্রম 

D. অ্যাঞ্জিলা 

উত্তর : সুলতান  ।

22. থনডাইকের "সংযোজনবাদ" কোন জার্নালে প্রকাশিত হয় ? 

A. Special intelligence 

B. General Intelligence 

C. Human Intelligence 

D. Animal Intelligence 

উত্তর : Animal Intelligence .

23. "গেস্টাল্ট" (Gestalt) শব্দটির উদ্ভব হয়েছে - 

A. জার্মানি 

B. ফ্রান্স 

C. ইটালি 

D. রাশিয়া 

উত্তর : জার্মানি ।

24. অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন মূলত সম্ভব হয় - 

A. বুদ্ধির দ্বারা 

B. অনুশীলনের দ্বারা 

C. অনুকরনের দ্বারা 

D. অনুবর্তনের দ্বারা  

উত্তর : বুদ্ধির দ্বারা 

25. প্রোগ্রাম শিখন হল ______ এর প্রবর্তিত শিখন তত্ত্বের ব্যাবহারিক প্রয়োগ।

A. স্কিনার 

B. প্যাভলভ 

C. থর্নডাইক 

D. কোহলার 

উত্তর : স্কিনার ।

26. "Science of Human Behaviour" (1935) বইটি কার ? 

A. স্কিনার 

B. প্যাভলভ 

C. থর্নডাইক 

D. কোহলার 

উত্তর : স্কিনার ।



মুদালিয়ার কমিশন (1952-53) Mudaliar Commission (1952-53)

 মুদালিয়ার কমিশন (1952-53) Mudaliar Commission Secondary Education Commission (1952-1953) মুদালিয়ার কমিশন (1952-53), মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন...